অ্যারোবিক ওয়ার্কআউট হল শারীরিক ব্যায়ামের একটি রূপ যা আপনার হার্টের হারকে দ্রুত বাড়ায় এবং আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসের হারকে বাড়ায়। এটি একটি কার্যকলাপ যেমন দৌড়ানো বা ভারী ওজন তোলা। অ্যারোবিক ব্যায়াম আপনার হৃদয়, ফুসফুস এবং সংবহনতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি আপনার ওজন কমাতে, শক্তি বাড়াতে এবং আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে।
অ্যারোবিক ওয়ার্কআউটের সুবিধা
অ্যারোবিক ওয়ার্কআউটের অনেক সুবিধা রয়েছে। এটি:
- আপনার হৃদয়, ফুসফুস এবং সংবহনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে
- আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে
- আপনার শক্তি বাড়ায়
- আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা উন্নত করে
- আপনার উদ্বেগ এবং বিষণ্নতা কমায়
- আপনার মেজাজ উন্নত করে
- আপনার ঘুমের মান উন্নত করে
অ্যারোবিক ওয়ার্কআউটের ধরন
অ্যারোবিক ওয়ার্কআউটের অনেকগুলি বিভিন্ন ধরন রয়েছে। কিছু জনপ্রিয় ধরন হল:
- দৌড়ানো
- সাঁতার কাটা
- সাইকেল চালানো
- নাচ
- জুম্বা
- ইন্ডোর ট্র্যাকিং
- স্টেপ অ্যারোবিক্স
অ্যারোবিক ওয়ার্কআউট শুরু করা
আপনি যদি অ্যারোবিক ওয়ার্কআউট শুরু করতে চান তবে ধীরে ধীরে শুরু করা এবং আপনার শরীরের সাথে কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি নতুন হন তবে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা ভালো।
এখানে কিছু টিপস রয়েছে যা আপনাকে অ্যারোবিক ওয়ার্কআউট শুরু করতে সাহায্য করবে:
আপনার শরীরের জন্য সঠিক ওয়ার্কআউট বেছে নিন। আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট ওয়ার্কআউট উপভোগ করেন না তবে আপনি এটি চালিয়ে যাবেন না।
ব্যায়ামের সময় আপনার শরীরের দিকে মনোযোগ দিন। যদি আপনি ক্লান্ত বোধ করেন তবে বিরতি নিন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন। আপনার লক্ষ্য প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিটের মাঝারি-তীব্রতার অ্যারোবিক কার্যকলাপ বা ৭৫ মিনিটের উচ্চ-তীব্রতার অ্যারোবিক কার্যকলাপ অর্জন করা।
নিরাপত্তা টিপস
অ্যারোবিক ওয়ার্কআউট করার সময় নিরাপদ থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কিছু টিপস রয়েছে:
আপনার শরীরকে সঠিকভাবে গরম করুন। ব্যায়ামের আগে ৫-১০ মিনিট হালকা ব্যায়াম করুন।
পর্যাপ্ত পাণি পান করুন। ব্যায়ামের সময় এবং পরে প্রচুর পরিমাণে পাণি পান করুন।
আপনার শরীরের সংকেতগুলি শুনুন। যদি আপনি ক্লান্ত বোধ করেন তবে বিরতি নিন।